- একটি সাধারণ প্রোগ্রামের গুণাবলি:
সাধারণত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রোগ্রাম রচনা করা হয়। প্রোগ্রাম রচনার ক্ষেত্রে ৭টি ধাপে রচনাকার্য সমাপ্ত করতে হয়। ধাপগুলো এ অধ্যায়ের প্রথমে আলোচনা করা হয়েছে। এ ৭টি ধাপে প্রোগ্রাম রচনা করলে রচনাকার্যে ত্রুটির সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া একটি সাধারণ প্রোগ্রামের গুণাবলি নিম্নরূপ:
১. পরিচয় পর্ব: প্রোগ্রামের বিষয়বস্তু/উদ্দেশ্য, প্রোগ্রামারের নাম, প্রোগ্রামের সময়কাল, প্রোগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধ্রুবক, চলকের বর্ণনা ইত্যাদি থাকে।
২. বর্ণনা: এ পর্বে প্রোগ্রামের বর্ণনা, সমস্যা সমাধানের কৌশল, সিদ্ধান্ত, যুক্তি ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
৩. ইনপুট: প্রোগ্রামে ডেটা ইনপুটের সুবিধা থাকবে।
৪. প্রসেস: প্রোগ্রামে অবশ্যই ডেটা প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা থাকবে।
৫. আউটপুট: ফলাফল প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে।
৬. নির্ভুল ও যুক্তিপূর্ণ: প্রোগ্রামটি নির্ভুল ও যুক্তিপূর্ণ হতে হয়।
৭. সরল ও সংক্ষিপ্ত: যতটা সম্ভব সরল ও সংক্ষিপ্ত হতে হয় এবং অতিরিক্ত লুপ থাকবে না।
৮. পরিমার্জন ও ভুল সংশোধন: সহজে প্রোগ্রামটির পরিবর্তন পরিমার্জন ও ভুল সংশোধন করার ব্যবস্থা থাকবে ইত্যাদি।
- একটি আদর্শ প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য
একটি আদর্শ প্রোগ্রামের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো-
- প্রোগ্রাম সহজ হবে।
- প্রোগ্রাম বোধগম্য হবে।
- প্রোগ্রাম যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে।
- প্রোগ্রামে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লুপ ব্যবহার করে প্রোগ্রামকে দীর্ঘায়িত না করা।
- সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট ও যুক্তিনির্ভর হতে হবে।
- প্রোগ্রাম সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন-এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- প্রোগ্রামের কোডিং অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত হবে।
- প্রোগ্রামকে অবশ্যই নেটওয়ার্ক সংবলিত পরিবেশে কাজ করার উপযোগী হতে হবে।
- প্রোগ্রামে জাম্প ও ব্রাঞ্চ ইনস্ট্রাকশন ব্যবহার না করা। এতে প্রোগ্রামের প্রোগ্রামের দক্ষতা কমে যায়।
- প্রোগ্রামে চলক, ধ্রুবক, উদ্দেশ্যের বর্ণনা দেয়া, যাতে ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারে।
- প্রোগ্রাম অবশ্যই দ্রুত গতিসম্পন্ন হতে হবে।
- প্রোগ্রাম যেন বেশি মেমোরি ধারণ না করে।
- সঠিক কজের জন্য সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন করতে হবে।