সি প্রোগ্রমিং (C Programming)
C হচ্ছে মধ্য পর্যায়ের হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এ ভাষা ব্যবহার করে সব ধরনের প্রোগ্রাম রচনা করা যায় বলে বর্তমানে এ ভাষা বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ভাষাতে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার লেখা হয়।
১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি বেল ল্যাবরেটরিতে ডেনিস রিচি (Dennis Ritchie) ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সি ভাষা উদ্ভাবন করেন। ডেনিস রিচি ১৯৪১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের Bronxe-ville এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৮ সালে ডেনিস রিচির লেখা ‘দ্যা সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ বইটি প্রকাশের পর এবং মাইক্রো কম্পিউটারের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে সি-এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।
C ভাষার প্রোগ্রামের গঠন (Basic Structure of C program)
সি প্রোগ্রাম একটি main() ফাংশনসহ এক বা একাধিক ফাংশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রোগ্রাম। সি প্রোগ্রামের বেসিক স্ট্রাকচার চিত্রে দেখানো হলো।
- ডকুমেন্টেশন সেকশন (Documentation Section): সি প্রোগ্রামের ঐচ্ছিক এ অংশে প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় মন্তব্য (Comment) থাকে। প্রোগ্রাম নির্বাহে এ অংশের কোনো ভূমিকা নেই। এক লাইনের কমেন্টের জন্য // ব্যবহার করা হয়। যেমন:
//This is my first program
তবে একাধিক লাইনের কমেন্টের জন্য শুরুতে /* এবং শেষে */ ব্যবহার করা হয়। যেমন:
/* This is my first program. I have written my comment to clarify my program */
- লিংক সেকশন (Link Section): এ অংশে প্রোগ্রাম ব্যবহৃত বিভিন্ন ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয় হেডার ফাইল সংযুক্ত করা হয়। এটি সি প্রোগ্রামের একটি আবশ্যকীয় অংশ। হেডার ফাইল সংযোগের নিয়ম হলো:
#include <header_file_name>
যেমন: print() ফাংশন এর হেডার ফাইল stdio.h সংযোগ করার জন্য লিখতে হবে:
#include<stdio.h>
- ডেফিনেশন সেকশন(Definition Section): অনেক সময় ইউজার ডিফাইন ফাংশন বা main() ফাংশনের অভ্যন্তরে কিছু ধ্রুবক (constant) ব্যবহার করা হয়। এ সকল ধ্রুবককে #define এর মাধ্যমে এ অংশে লেখা হয়। যেমন: #define pi=3.14;
- গ্লোবাল ডিক্লারেশন সেকশন (Global Declaration Section): যে কোনো ফাংশনে অথবা প্রোগ্রামের সর্বত্র ব্যবহৃত হবে এমন ভেরিয়েবলকে গ্লোবাল ভেরিয়েবল বলা হয়। এ অংশে গ্লোবাল ভেরিয়েবল ঘোষণা করা হয়।
- মেইন ফাংশন (Main Function Section): সি প্রোগ্রাম main() ফাংশনকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এ ফাংশনের দু’টি অংশ রয়েছে। যথা: ১. ঘোষণা অংশ (Declarative part) ও ২. নির্বাহ অংশ (Executable part)। মেইন সেকশনের ঘোষণা অংশে সাধারণত বিভিন্ন টাইপের ভেরিয়েবল, অ্যারে, পয়েন্টার, ফাইল ইত্যাদি ঘোষণা করা হয়। নির্বাহ অংশে কমপক্ষে একটি স্টেটমেন্ট থাকতে হয়। উভয় অংশের প্রত্যেক স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন (;) থাকতে হবে। ফাংশনের সম্পূর্ণ অংশ দ্বিতীয় বন্ধনী বা {} দ্বারা আবদ্ধ থাকে। main() হলো সি প্রোগ্রামের আবশ্যকীয় অংশ।
- সাবপ্রোগ্রাম সেকশন (Subprogram Section): এ অংশে সাধারণত ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি করা ফাংশন লেখা হয়। সাধারণত main() ফাংশনের শেষে এ সব ফাংশন থাকে, তবে এদেরকে main() ফাংশনের আগেও লেখা যায়। সাবপ্রোগ্রাম সেকশনের ঐচ্ছিক অংশ।
===================================
এই অধ্যায়ের সকল পোস্টের লিঙ্কঃ
- প্রোগ্রাম, প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক, প্রোগ্রামের ভাষা
- অনুবাদক প্রোগ্রাম ( Translator Program)
- প্রোগ্রামের সংগঠন (Program Organization)
- অ্যালগরিদম (Algorithm) কী? অ্যালগরিদমের সুবিধা
- ফ্লোচার্ট (Flowchart) কী? প্রোগ্রাম ফ্লোচার্টে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্রতীক
- প্রোগ্রাম (Program) এর গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য
- প্রোগ্রাম টেস্টিং (Testing) ও ডিবাগিং (Debugging)
- সি প্রোগ্রমিং (C Programming) ও সি ভাষার প্রোগ্রামের গঠন
- সি ল্যাঙ্গুয়েজে নমুনা প্রোগ্রাম (Sample C Program)
- সি প্রোগ্রাম এর মৌলিক ডেটা টাইপ (Data Type)
- ধ্রুবক (Constant), চলক (Variable), চলকের প্রকারভেদ
- অপারেটর (Operator)
- এক্সপ্রেশন (Expression) , কীওয়ার্ড (Keyword)
- স্টেটমেন্ট (Statement)
- কন্ডিশনাল কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট (Conditional Control Statement)
- লুপিং স্ট্রাকচার (Looping Structure)
- switch…case, break…continue স্টেটমেন্ট
- অ্যারে (Array) কী? অ্যারে ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা