ই-মেইল (E-mail)
ই-মেইলের পূর্ণ অর্থ হলো ইলেকট্রনিক মেইল । ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস (কম্পিউটার, মোবাইল প্রভৃতি) এর মধ্যে ডিজিটাল তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থাকে ই-মেইল বলে ।
ই-মেইল তথ্য আদান-প্রদানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্যবহার করে থাকে এবং এতে টেক্সট বার্তার সাথে অ্যাটাচমেন্ট আকারে নানা ফাইলও (ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও ভিডিও সহ যে কোনো ডিজিটাল ফাইল) পাঠানো যায় । ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় সারা বিশ্বের যেকোনো স্থানে ইমেইল পাঠানো যায় । এটিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতির পত্র আদান-প্রদান ব্যবস্থা হিসবে চিহ্নিত করা যেতে পারে । পত্র যোগাযোগের জন্য যেমন একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়োজন তেমনি ই-মেইলের জন্যও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহৃত হয়, যা প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য ইউনিক হয়ে থাকে । নিরাপত্তার জন্য গোপন পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হয় প্রত্যেক ই-মেইল একাউন্টকে । একটি ই-মেইল অ্যাড্রেসের দুটি অংশ থাকে; যার প্রথম অংশটি ব্যবহারকারীর পরিচিতি এবং শেষাংশটি ডোমেইন নেম হিসেবে পরিচিত । যেমনঃ bipulsarkar7@gmail.com একটি ইমেইল অ্যাড্রেস; যার bipulsarkar7 অংশটি ব্যবহারীর পরিচিতি এবং gmail.com অংশটি ডোমেইন নেম হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইমেইল অ্যাড্রেসের এ দুটি অংশকে @ চিহ্ন দ্বারা পৃথক করা হয়ে থাকে ।
ই-মেইলের জনকঃ
আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার “রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন (Raymond Samuel Tomlinson)” এর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ এপ্রিল । তিনিই সর্বপ্রথম আরপানেট ই-মেইল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে এক হোস্ট কম্পিউটার থেকে অপর হোস্ট কম্পিউটারে ই-মেইল প্রেরণ করেন। তার সূচিত এই ই-মেইল ব্যবস্থা পরবর্তীতে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য আদান প্রদানে এক বিপ্লব সাধন করে । এই ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় পদ্ধতি উদ্ভাবন ও তার দ্বারা প্রথম সফল ইমেইল বিনিময়ের কৃতিত্বের কারনে তাকে ইমেইলের জনক বলা হয় ।
ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যে রিসোর্সগুলো প্রয়োজন তা হলো-
- একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন
- ইন্টারনেট সংযোগ
- ই-মেইল বার্তা তৈরি, এডিট, গ্রহণ ও প্রেরণসহ ই-মেইল ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ।
- প্রেরক ও প্রাপকের ই-মেইল এড্রেস ।
ই-মেইলের সুবিধা (Advantages of E-mail):
- ব্যবহার করা সহজ । সহজে পাঠানো যায় ও গ্রহণ করা যায় এবং কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা যায় ।
- সবচেয়ে দ্রুত । মুহূর্তেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে পাঠানো যায় ।
- কোনো গ্রুপ লোকজনের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা যায় ।
- ই-মেইলের সাথে এটাচ করে বিভিন্ন রকম ফাইল (অডিও, ভিডিও, লেখা …ইত্যাদি) পাঠানো যায় ।
- একই মেইল সিসি (CC) করে অনেকের কাছে পাঠানো যায় ।
- কাগজের ব্যবহার হয়না বিধায় পরিবেশের জন্য সহায়ক ।
- ই-মেইলের মাধ্যমে খুব সহজেই কম খরচে কোনো প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা যায় ।
- সাধারণ প্রাপ্ত মেইলের বিপরীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো উত্তর পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় ।